Dearness Allowance – বকেয়া ডিএ নিয়ে বিরাট গরমিল – ব্যাপক ক্ষুব্ধ সরকারি কর্মীরা

Dearness Allowance – বকেয়া ডিএ নিয়ে বিরাট গরমিল – ব্যাপক ক্ষুব্ধ সরকারি কর্মীরা

রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা (Dearness Allowance) নিয়ে অসন্তোষের কথা সকলেরই জানা। যেখানে কেন্দ্র সরকার ও বিভিন্ন রাজ্য সরকার নিয়মিত হারা মহার্ঘ ভাতা বাড়িয়ে চলেছে সেখানে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মীদের দিনের পর দিন বকেয়া মহার্ঘ ভাতা নিয়ে বঞ্চনার শিকার হতে হচ্ছে। আর এই মহার্ঘ ভাতা (Dearness Allowance) দেওয়া নিয়ে রাজ্য সরকারের একটি ভুল প্রকাশ্যে আসায় বেজায় চটেছেন সরকার কর্মচারী মহল। আসুন সেই ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নিন আজকের প্রতিবেদনে।

কেন্দ্র সরকারি কর্মীরা যেখানে ৫০ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা পান। সেখানে রাজ্য সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতার (Dearness Allowance) পরিমাণ মাত্র ১৪ শতাংশ। অর্থাৎ কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতার ফারাক প্রায় ৩৬ শতাংশ। আর ফলে প্রতি মাসে হাজার হাজার টাকার লোকসানের শিকার হচ্ছেন সরকারি কর্মীরা। আর সেই বিষয়ে অর্থাৎ বকেয়া মহার্ঘ ভাতা নয় মামলাটি হাইকোর্ট ঘুরে এখন সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা হাইকোর্টে বকেয়া মহার্ঘ ভাতা নিয়ে একের পর এক জয় পেলেও সরকারের তরফে সেই বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে কোনো সদর্থক ভূমিকা নিতে দেখা যায় নি। তাই বাধ্য হয়েই আন্দোলনের পথ বেছে নিয়েছেন এই রাজ্যের সরকারি কর্মচারীবৃন্দ। আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি তারা তাদের প্রাপ্য আদায়ে আন্দোলন ও চালিয়ে যাচ্ছেন।

লোকসভা ভোটের আগে রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য ৪ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা (Dearness Allowance) ঘোষণা করে রাজ্য সরকার যা ২০২৪ সালের মে মাসে থেকে কার্যকর হওয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে পুনরায় রাজ্য সরকার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায় মে মাসের পরিবর্তে এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে ৪ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা। আর এপ্রিলের বকেয়া টাকা জুলাই মাসের বেতনের সঙ্গে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ব্যাংক একাউন্টে ঢুকবে।

ওই এক মাসের বকেয়া মহার্ঘ ভাতার (Dearness Allowance) একাউন্টে ঢুকতেই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে নতুন এক অভিযোগ আনলেন সরকারি কর্মচারী মহল। তাদের দাবি বকেয়া মহার্ঘ ভাতা প্রদানের ক্ষেত্রে ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছে। তাদের অভিযোগ, যে এক মাসের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হয়েছে সেটা পে স্লিপে দেখানো হয়নি। রাজ্য সরকারের বিবৃতি একরকম হলেও পে স্লিপ অন্য কথা বলছে।

বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক বা অ-শিক্ষক কর্মীরা যখন পে স্লিপ হাতে পাচ্ছেন, তখন দেখছেন ওই এক মাসের টাকাকে বকেয়া মহার্ঘ ভাতা (Dearness Allowance) হিসেবে দেখানো হয় নি। দেখানো হয়েছে ইন্টেরিম রিলিফ হিসেবে। আর তাতেই বেজায় চটেছেন সরকারি কর্মচারী মহল। তাদের দাবি, বেতনের বার্ষিক স্টেটমেন্ট ডাউনলোড করলে তাতেও একই ভুল দেখাচ্ছে। বিভিন্ন কাজে পে স্লিপ ব্যবহৃত হওয়ায় সরকারের তরফ থেকে এই ভুল সংশোধনের দাবি জানাচ্ছেন সরকারি কর্মচারীরা।

স্কুল শিক্ষা ও মহার্ঘ ভাতা সংক্রান্ত যেকোনো আপডেট সবার আগে পেতে আমাদের ওয়েব পোর্টাল অবশ্যই ফলো করুন।

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *