পশ্চিমবঙ্গে তথা গোটা ভারতবর্ষে তফসিলি জাতি, উপজাতি, অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত ব্যক্তিদের জাতিগত শংসাপত্র (caste certificate) সংক্রান্ত বিরাট আপডেট। শিক্ষা ও চাকরি সংক্রান্ত ক্ষেত্রে সংরক্ষণ দেওয়া হয়ে থাকে। এছাড়াও কিছু বছর আগে অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পরা শ্রেণীর ব্যক্তিদেরও সংরক্ষণের কথা ঘোষণা করা হয়। আর এই সমস্ত সংরক্ষণ পেতে গেলে সেই সংক্রান্ত জাতিগত শংসাপত্র (caste certificate) দরকার হয়। আর সংশ্লিষ্ট মহকুমা আধিকারিকের দপ্তর থেকে এই সমস্ত জাতিগত শংসাপত্র (caste certificate) ইস্যু হয়ে থাকে। আর এই শংসাপত্র সংক্রান্ত বিরাট আপডেট উঠে আসছে হাইকোর্ট থেকে।
কিছুদিন আগেই মহামান্য হাইকোর্ট ২০১১ সালের পর থেকে ইস্যু হওয়া সমস্ত ওবিসি শংসাপত্র বাতিলের নির্দেশ দেন। আর সেই খবরে হইচই পরে যায় চারিদিকে। যদিও সেই মামলা এখনও সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। সেই সংক্রান্ত কোনো আপডেট এখনও এসে পৌঁছয়নি। কিন্তু এই মুহূর্তে জাতিগত শংসাপত্র (caste certificate) সংক্রান্ত অন্য একটি আপডেট উঠে আসছে।
হাইকোর্টের এই আপডেট অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি যদি এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে স্থানান্তরিত হয় তবে আগের রাজ্যের জাতিগত শংসাপত্র (caste certificate) নতুন রাজ্যে কার্যকর হবে না। আর এই সংক্রান্ত মামলাতেই একটি আপডেট দিয়েছে মহামান্য হাইকোর্ট।
কিছুদিন আগে এক ব্যক্তি কর্মসূত্রে রাজস্থান থেকে ছত্তিশগড় স্থানান্তরিত হন। তিনি রাজস্থান সরকারের তফসিলি উপজাতির আওতায় ছিলেন। সে সূত্রে তিনি ছত্তিশগড়ে গিয়েও নিজেকে তফসিলি উপজাতি বলে দাবি করেন। কিন্তু ছত্তিশগড়ের কাস্ট স্ক্রুটিনি দপ্তর সেই দাবি নাকচ করে দেয়। ফলে তিনি নিজের তফসিলি উপজাতির শংসাপত্র (caste certificate) পাওয়ার আশায় মহামান্য হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।
এক্ষেত্রে, মাননীয় উচ্চ আদালত রায় দেয়, এক রাজ্যের তফসিলি জাতি বা উপজাতির শংসাপত্র (caste certificate) অন্য রাজ্যে বৈধ হবে না। সুতরাং যে সমস্ত ছাত্র ছাত্রী বা চাকরিপ্রার্থী অন্য রাজ্যে চাকুরী অথবা শিক্ষা লাভের আশায় পাড়ি জমাচ্ছেন তাদের এই সংরক্ষণের বিষয়টি বিশেষভাবে মাথায় রাখা উচিত। যদিও কেন্দ্রীয় সংস্থায় ভর্তি অথবা চাকুরী লাভের ক্ষেত্রে এই সংক্রান্ত কোনো বাধা নেই।
চাকুরি ও শিক্ষা সংক্রান্ত যেকোনো আপডেট সবার আগে পেতে আমাদের ওয়েব পোর্টাল অবশ্যই ফলো করুন।