কর্মরত অবস্থায় কোন সরকারি কর্মচারীর (Government Employees) মৃত্যু হলে অথবা তিনি শারীরিকভাবে অক্ষম হয়ে পড়লে, তার পরিবারের একজন কম্পাশনেট গ্রাউন্ডে চাকরি পেয়ে থাকেন। কিন্তু সরকারি কর্মচারীর (Government Employees) পরিবারের সেই চাকরি পেতে দেখা যাচ্ছে যে, দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হয়ে যাচ্ছে। আবার কোন কোন ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে আবেদন ত্রুটিপূর্ণ থাকায় সরকারি কর্মচারীর (Government Employees) পরিবারের চাকরির আবেদন খারিজ হয়ে যাচ্ছে। এবার এই বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করল রাজ্য সরকার। আসুন সেই ব্যাপারেই বিস্তারিত জেনে নেব আজকে প্রতিবেদনে।
এই ব্যাপারে মাঠে নেমেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। তার বক্তব্য স্পষ্ট। সরকারি কর্মচারীর (Government Employees) পরিবারকে সহানুভূতি দেখিয়ে চাকরি দিচ্ছে রাজ্য সরকার। অথচ সেই সরকারি কর্মচারীর পরিবারের প্রতি সরকারি দপ্তরের সহানুভূতি দেখা যাচ্ছে না। এই বিষয়ে ঢিলেমি আর বরদাস্ত করা হবে না। সকল দপ্তরকে এই বিষয়ে করা পদক্ষেপ নিতে তিনি নির্দেশ দেন।
এর পরপরই তড়িঘড়ি বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্যের পঞ্চায়েত দপ্তর। তারা বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে যে, এই বিষয়ে ঢিলেমি আর চলবে না। এমনকি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বেশ কয়েক দফা নির্দেশিকা জারি করে রাজ্যের পঞ্চায়েত দপ্তর। এই নির্দেশিকা অনুযায়ী পঞ্চায়েত দপ্তরের কোন কর্মীর অকাল মৃত্যু হলে অথবা তিনি শারীরিকভাবে অক্ষম হলে, পঞ্চায়েত দপ্তর নিজের থেকে ওই কর্মীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করবে। শুধু তাই নয়, এই ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে রাজ্যের পঞ্চায়েত দপ্তর। নির্দেশিকাতে বলা হয়েছে যে, কর্মচারীর (Government Employees) মৃত্যুর সর্বোচ্চ ২ বছরের মধ্যে তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করে তাদের চাকরির আবেদনের জন্য গাইড করতে হবে। এর প্রধান কারণ হচ্ছে, অনেক কর্মচারীর পরিবারই চাকরির আবেদনের ক্ষেত্রে অনভিজ্ঞ। ফলে আবেদন ত্রুটিপূর্ণ থাকায় তা অধিকাংশ ক্ষেত্রে খারিজ হয়ে যাচ্ছে।
এর সঙ্গে এটাও বলা আছে যে, আবেদনের জন্য দরকারি নথিপত্র পঞ্চায়েত দপ্তরই ব্যবস্থা করবে। সেই সঙ্গে আবেদন করার সাথে সাথে মৃত কর্মচারীর (Government Employees) পরিবারকে একটি আবেদনের রিসিভড কপি দিতে হবে। আবেদন জমা করার পর সর্বোচ্চ ৩০ দিন সময় সীমা বেধে দিয়েছে পঞ্চায়েত দপ্তর গোটা ঘটনা প্রসেস করার জন্য।
সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে যে, পঞ্চায়েত দপ্তরের ওই নির্দেশিকা কোন বিক্ষিপ্ত উদ্যোগ নয়। ধীরে ধীরে রাজ্যের সমস্ত দপ্তরেই সরকারি কর্মচারীদের (Government Employees) পরিবারের জন্য ওই উদ্যোগ নেওয়া হবে। অর্থাৎ প্রত্যেক দপ্তরে ধীরে ধীরে পঞ্চায়েত দপ্তরের মতো নির্দেশিকা জারি করবে।
বকেয়া মহার্ঘ ভাতা ও সরকারি চাকরি সংক্রান্ত যেকোন আপডেট সবার আগে থেকে আমাদের ওয়েব পোর্টাল অবশ্যই ফলো করুন।