Mid Day Meal Scheme – মিড ডে মিলের নতুন নির্দেশ – বিশেষ দিনে স্কুলে তিথি ভোজন

Mid Day Meal Scheme – মিড ডে মিলের নতুন নির্দেশ – বিশেষ দিনে স্কুলে তিথি ভোজন

মিড ডে মিল (Mid Day Meal Scheme) পরিকল্পনা বর্তমানে স্কুল শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি একটি যৌথ প্রকল্প। অর্থাৎ কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার সম্মিলিতভাবে এই মিড ডে মিল (Mid Day Meal Scheme) পরিচালনা করে থাকে সমগ্র দেশের বিদ্যালয়গুলিতে। এবার এই মিড ডে মিল সংক্রান্ত নতুন একটি নির্দেশিকা পাঠালো কেন্দ্র সরকার। কি সেই নির্দেশিকা আসুন জেনে নেব আজকের এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে।

এই নির্দেশিকা অনুযায়ী গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ এবং হিমাচল প্রদেশের পরে এবার পশ্চিমবঙ্গেও মিড ডে মিলে (Mid Day Meal Scheme) তিথি ভোজনের আয়োজন করতে হবে। স্কুল শিক্ষা দপ্তর সূত্রে জানা যাচ্ছে যে, ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় তিথি ভোজনের কর্মসূচি শুরু হয়ে গেছে। কেন্দ্রীয় বাজেট অনুযায়ী মিড ডে মিলের বরাদ্দ প্রতিবছরই কমছে। অন্যদিকে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বাজারে সমস্ত জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। এইরকম পরিস্থিতিতে কিভাবে বিশেষ দিনে তিথি ভোজনের আয়োজন করা সম্ভব হবে তা নিয়ে সংশয় দানা বাঁধছে রাজ্যের শিক্ষা মহলের একাংশের মনে।

এই প্রসঙ্গে এক প্রধান শিক্ষিকার কথায়, প্রতি ছাত্রের মাথাপিছু যে আর্থিক বরাদ্দ মিড ডে মিলে (Mid Day Meal Scheme) দেওয়া হয়ে থাকে, তাতে সাপ্তাহিক মেনু মেনে খাবার দিতেই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়। সেখানে বিশেষ দিনে ভালো খাবারের বন্দোবস্ত কি করে করা সম্ভব হবে তা কিছুতেই বুঝে ওঠা যাচ্ছে না। কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের দেওয়া নির্দেশ অনুযায়ী তিথি ভোজনের ১০০ দিনের জন্য বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের পুষ্টির দিকে বিশেষভাবে নজর দিতে হবে। জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা আইন ২০১৩-র কথা মাথায় রেখে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

পশ্চিমবঙ্গের এক শিক্ষক সংগঠনের নেতার কথা অনুযায়ী, কেন্দ্র সরকার মিড ডে মিল (Mid Day Meal Scheme) দেওয়ার ক্ষেত্রে আগামী ১০০ দিন যে বিশেষ পুষ্টিকর খাবার দেওয়ার কথা বলেছে এবং সেইসঙ্গে খাদ্য তালিকাও দিয়ে দিয়েছে, মিড ডে মিলের বরাদ্দ টাকা দিয়ে সেই খাবার দেওয়া প্রায় অসম্ভব। অন্যদিকে শিক্ষা দপ্তরের এক আধিকারিকের কথায়, এই কর্মসূচি বাধ্যতামূলক নয়।

আরও এক মিড ডে মিল আধিকারিকের কথায়, কেন্দ্রের নির্দেশ অনুযায়ী রাজ্যের বেশ কিছু জেলায় মিড ডে মিলে (Mid Day Meal Scheme) এই বিশেষ তিথি ভোজনের আয়োজন করা হয়েছে। স্থানীয় কমিউনিটি অনেক ক্ষেত্রে দায়িত্ব নিচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে আবার কোন ব্যক্তি এলাকাভিত্তিক এই বিশেষ ভোজনের দায়িত্ব নিচ্ছেন। যদিও শিক্ষক মহলের একাংশের দাবি, দেশের সরকারি স্কুলগুলি থেকে স্কুল ছুটের সংখ্যা কমাতে এবং মিড ডে মিলের প্রতি আকর্ষণ বাড়াতেই এই উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্র সরকার।

স্কুল শিক্ষা ও সরকারি কর্মচারী সংক্রান্ত যেকোনো আপডেট সবার আগে পেতে আমাদের ওয়েব পোর্টালটিকে অবশ্যই ফলো করুন।

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *