পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (ssc scam) মামলা বহুল প্রচলিত। লোকসভা ভোট চলাকালীন হাইকোর্টের রায় দান অনুযায়ী ২৬ হাজার শিক্ষক শিক্ষিকা ও শিক্ষা কর্মীর চাকরি বাতিল হয়। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার। বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সেই সমস্ত শিক্ষক শিক্ষিকা ও শিক্ষা কর্মী চাকরিতে বহাল আছেন। সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্টতই জানিয়েছে যে, যোগ্য এবং অযোগ্য প্রার্থীর তালিকা আলাদা করা গেলে সম্পূর্ণ প্যানেলে বাতিল করা যাবে না। একইসঙ্গে সিবিআই কে তদন্ত চালিয়ে যেতে হবে। এই মুহূর্তে সিবিআই তদন্ত থেকেই উঠে এলো এক বিরাট আপডেট।
সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে যে, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (ssc scam) এখনো পর্যন্ত আড়াই হাজার ভুয়ো শিক্ষক তারা চিহ্নিত করেছেন। এর মধ্যে দফায় দফায় প্রায় ২ হাজার ৩০০ জনকে তলব করেছে সিবিআই। জিজ্ঞাসাবাদে উঠে এসেছে একাধিক এজেন্টের নাম। সেইসঙ্গে উঠে এসেছে বেশ কয়েকজন প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকার নামও। সি বি আই সূত্রে জানা যাচ্ছে যে, মোটামুটি ভাবে প্রায় ৫০ জন প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকার নাম পাওয়া গেছে অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করে যারা এই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে (ssc scam) যুক্ত।
তবে এটাও জানা যাচ্ছে যে এই সমস্ত শিক্ষক শিক্ষিকারা মোটেও প্রভাবশালী নন। শিক্ষা দপ্তরে বারংবার যাতায়াতের সূত্রই বিভিন্ন উচ্চপদস্থ কর্মচারীদের সঙ্গে তাদের ভালো যোগাযোগ তৈরি হয়ে যায়। আর সেই সঙ্গে তারা এই চাকরি বিক্রির চক্রে জড়িয়ে পড়েন। অনেক ক্ষেত্রে প্রধান শিক্ষক শিক্ষিকার সঙ্গে কিছু কিছু স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের নামও জড়িয়েছে এই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির (ssc scam) তালিকায়। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে যে, চাকরি বিক্রির সঙ্গে জড়িত সেই সমস্ত প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষিকার নামের তালিকা আদালতে জমা দেওয়া হতে পারে। আর সেই সঙ্গে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকাও হতে পারে।
সুতরাং শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (ssc scam) জড়িত শিক্ষকরাই। এই ঘটনায় বেশ হতবাক রাজ্যের শিক্ষা মহলের একাংশ। যদিও বিষয়টি প্রমাণ সাপেক্ষ। তাই যতক্ষণ না পর্যন্ত প্রমাণ করা যাচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত সবকিছুই ধোঁয়াশায়। এখন আগামী দিনে এই সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকার বিরুদ্ধে কিছু প্রমাণ হয় কিনা এটাই দেখার।
শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত যেকোন আপডেট সবার আগে পেতে আমাদের ওয়েব পোর্টাল অবশ্যই ফলো করুন।