wb school education – পরীক্ষার এক মাস আগেও নেই বই – মাথায় হাত ছাত্র থেকে শিক্ষক

wb school education – পরীক্ষার এক মাস আগেও নেই বই – মাথায় হাত ছাত্র থেকে শিক্ষক

পরীক্ষা হবে সেপ্টেম্বরে কিন্তু এখনো পশ্চিমবঙ্গ স্কুল শিক্ষা দপ্তরের (wb school education) বই নেই একাদশ শ্রেণির বৃত্তিমূলক পরীক্ষার। এই বছর থেকেই পশ্চিমবঙ্গে পরীক্ষার ধরন বদল করে একাদশ শ্রেণীতে সেমিস্টার সিস্টেম চালু করা হয়েছে। এখন চলছে আগস্ট মাস। সেপ্টেম্বর মাস থেকে পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু শিক্ষা মহলের বিভিন্ন স্তর থেকে অভিযোগ উঠে আসছে যে, বৃত্তিমূলক পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের ধরন ও নয়া পাঠক্রম এখনো স্কুল গুলির কাছে পৌঁছায়নি। এমনকি নতুন পদ্ধতির মডেল বইও ছাত্র কিংবা শিক্ষক কেউই পাননি। স্বাভাবিকভাবেই বৃত্তিমূলক পরীক্ষা নিয়ে ধোঁয়াশার মধ্যে রয়েছেন ছাত্র থেকে শিক্ষক সকলেই।

এই বছর বেশ কিছু নতুন স্কুলকে বৃত্তিমূলক শিক্ষা পড়ানোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ স্কুল শিক্ষা দপ্তরের (wb school education) তরফে। কিন্তু অভিযোগ আসছে সেই সমস্ত বিষয়ের ল্যাবরেটরী ও নেই সংশ্লিষ্ট স্কুলে। তাহলে কিভাবে হবে সেই সমস্ত বিষয়ের পঠন-পাঠন ভেবে পাচ্ছেন না সংশ্লিষ্ট স্কুলের শিক্ষকরা।

জানা যাচ্ছে যে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে বৃত্তিমূলক শিক্ষার সমস্ত বিষয়টি দেখাশোনা করে ভোকেশনাল কাউন্সিল। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফে জানানো হচ্ছে এই বিষয়ে বারবার অভিযোগ জানানো হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। সুতরাং পশ্চিমবঙ্গ স্কুল শিক্ষা দপ্তরের (wb school education) তরফে আগামী এক মাসে ওই বিষয়গুলি পরীক্ষা নেওয়ার জন্য কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন রাজ্যের শিক্ষক মহল। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতির কথায়, তারা বিষয়টি ভোকেশনাল কাউন্সিল কে বারবার জানিয়েছেন। সেক্ষেত্রে দ্রুত পদক্ষেপ না করা হলে, সেমিস্টারে সঠিকভাবে পরীক্ষা সংগঠিত করা সমস্যার হয়ে দাঁড়াবে।

পশ্চিমবঙ্গ স্কুল শিক্ষা দপ্তরের (wb school education) তরফে নতুন করে ১৬১১ টি স্কুলকে বৃত্তিমূলক বিষয়গুলি পড়ানোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আগে মোট ১৩ টি বিষয় বৃত্তিমূলক বিষয় হিসেবে পড়ানো হত। কিন্তু এই বছর থেকে সেমিস্টার পদ্ধতি চালু হওয়ায়, বিষয় সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। বর্তমানে বৃত্তিমূলক বিষয় হিসেবে ১৬ টি বিষয়কে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

প্রধান শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষিকাদের সংগঠনের তরফে বলা হয়েছে, একাদশ শ্রেণির প্রথম সেমিস্টার পরীক্ষা শুরু হবে ১৩ ই সেপ্টেম্বর। কিভাবে প্রশ্নপত্র করতে হবে এবং পরীক্ষা পদ্ধতি কি হবে তা নিয়ে কোনরকম তথ্য এখনো পর্যন্ত তাদের কাছে নেই। অবিলম্বে এই বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ স্কুল শিক্ষা দপ্তরের (wb school education) হস্তক্ষেপ করা উচিত। তা না হলে সেমিস্টার পরিচালনা করতে সমস্যা হবে।

শিক্ষক মহলের একাংশের দাবি, বৃত্তিমূলক শিক্ষার বিষয়গুলির মধ্যে যেকোনো একটি বিষয়ে অপশনাল হিসাবে নিতে হবে। আর সেই বিষয়ে ৭০ নম্বরে পরীক্ষা দিতে হবে ছাত্র-ছাত্রীদের। অথচ পাঠক্রম নেই, বই নেই, ল্যাবরেটরি নেই সংশ্লিষ্ট কিছু বিষয়ের। সুতরাং পশ্চিমবঙ্গ স্কুল শিক্ষা দপ্তর (wb school education) কেন তড়িঘড়ি এই বিষয়গুলি পাঠক্রমের অন্তর্ভুক্ত করল সেই বিষয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে তাদের মনে।

এক প্রধান শিক্ষিকার কথায়, পরীক্ষার আর একমাস বাকি।এখনো পর্যন্ত পর্যাপ্ত পরিকাঠামো নেই। বই বা মডেল প্রশ্নপত্র কোন কিছুই এসে পৌঁছায়নি। এই মত অবস্থায়, পশ্চিমবঙ্গ স্কুল শিক্ষা দপ্তরের (wb school education) উচিত পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া। না হলে বিপাকে পড়বেন ছাত্র ও শিক্ষক উভয়ই।

স্কুল শিক্ষা সংক্রান্ত যেকোনো আপডেট সবার আগে পেতে আমাদের ওয়েব পোর্টাল অবশ্যই ফলো করতে ভুলবেন না।

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *