প্রায় ৫০ দিন গরমের ছুটি কাটানোর পর রাজ্যের শিক্ষক শিক্ষিকা (wb teacher) এবং ছাত্রছাত্রীরা আবার স্কুল মুখী হয়েছেন। লোকসভা ভোট এবং গরমের ছুটি মিলিয়ে বহুদিন বন্ধ ছিল স্কুলের পঠন-পাঠন। ফলে সিলেবাস অনেকটাই বাকি রয়ে গেছে ছাত্র-ছাত্রীদের। কিন্তু এরই মধ্যে প্রায় দেখা যায় যে, স্কুলের শিক্ষকরা (wb teacher) স্কুল টাইমে পড়ানো বাদে অন্যান্য কাজে যুক্ত থাকেন। ফলে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার ব্যাপক ঘাটতি হয়ে থাকে। আর এই সমস্যা মেটাতেই এবার ময়দানে নামলো খোদ শিক্ষা দপ্তর। শিক্ষা দপ্তরের তরফে নতুন নির্দেশিকা জারি করে এই ব্যাপারে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। আজকের প্রতিবেদনে আমরা সেই ব্যাপারেই বিস্তারিত জেনে নেব।
লোকসভা ভোট ও গরমের ছুটি মিলিয়ে বহুদিন বিদ্যালয়ে পঠন-পাঠন বন্ধ থাকায় ছাত্র-ছাত্রীদের সিলেবাস অনেকটা বাকি রয়ে গেছে। সুতরাং ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষাদানে অনেকটাই ঘাটতি হয়ে গেছে। এরই মধ্যে রাজ্যে শিক্ষক শিক্ষিকারা (wb teacher) যাতে ক্লাস নেওয়া বাদ দিয়ে অন্য কোন কাজে নিজেদের যুক্ত না করেন সেই বিষয়টি সুনিশ্চিত করতে চাই রাজ্য শিক্ষা দপ্তর। এই বিষয়ে পূর্বে অনেক চর্চা হলেও সেরকমভাবে পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি শিক্ষা দপ্তরকে। কিন্তু এইবার শিক্ষা দপ্তরের পদক্ষেপে এই সংক্রান্ত বেশ খানিকটা আশার আলো দেখা যাচ্ছে।
স্কুল টাইমে পড়ানো বাদ দিয়েও রাজ্যে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের (wb teacher) করতে হয় অনেক কাজ। সেটা হতে পারে একাডেমিক কাজ অথবা কিছু কিছু ক্ষেত্রে অফিসিয়াল কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়ে থাকেন রাজ্যের স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা। কিন্তু এই বিষয়ে কড়া হাতে নিয়ন্ত্রণ আনতে নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্যের কমিশনার অফ স্কুল এডুকেশন। এই নির্দেশিকা অনুযায়ী স্কুল চলাকালীন রাজ্যের শিক্ষক শিক্ষিকারা (wb teacher) অন্য কোন কাজে নিজেদের যুক্ত করতে পারবে না। অত্যন্ত প্রয়োজনের ক্ষেত্রে অনুমতি নিতে হবে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকের।
নির্দেশিকা অনুযায়ী স্পষ্ট বলা হয়েছে যে, স্কুল চলাকালীন যদি কোন শিক্ষক-শিক্ষিকা (wb teacher) নির্বাচন অথবা শিক্ষা দপ্তরে নির্দেশিত কোনো কাজ ছাড়া অন্য কোনো কাজে নিজেকে নিযুক্ত করেন তবে সেক্ষেত্রে ওই শিক্ষক বা শিক্ষিকাকে সংশ্লিষ্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষক অথবা ম্যানেজিং কমিটির অনুমতি নিতে হবে। সকল শিক্ষক শিক্ষিকার জন্য এই একই নিয়ম লাগু হবে। যদি কোন শিক্ষক এই নিয়মের অন্যথায় করেন তবে তাকে বিভাগীয় তদন্তের আওতায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
নির্দেশিকা অনুযায়ী আরো বলা হয়েছে যে, যদি কোন শিক্ষক বা শিক্ষিকা (wb teacher) স্কুল টাইমে অন্য কোন কাজে নিজেকে নিযুক্ত করেন তবে সেই ক্ষেত্রে প্রতিমাসের স্যালারি রিকুইজিশন স্লিপ এর সঙ্গে সেই তথ্য প্রধান শিক্ষকের কাছে জমা দিতে হবে। অনেক শিক্ষক সংগঠনের দাবি ২০১৮ সালের শিক্ষকদের আদর্শ আচরণবিধি লাগু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে শিক্ষা দপ্তরের তরফে সেই সংক্রান্ত কোন সদর্থক ভূমিকা দেখা যায়নি। অন্যদিকে বিভিন্ন প্রধান শিক্ষকদের মতে জেলা স্কুল পরিদর্শক মহাশয়কে, শিক্ষকদের এই নয়া আচরণবিধি সংক্রান্ত নজরদারির দায়িত্ব নিতে হবে।
স্কুল শিক্ষা ও সরকারি কর্মচারি সংক্রান্ত যেকোনো আপডেট সবার আগে পেতে আমাদের ওয়েব পোর্টাল অবশ্যই ফলো করুন।