wb teacher – রাজ্য সরকারের শিক্ষকদের জন্য কড়া নির্দেশিকা – এই কাজ করলে চাকরি বাতিল

wb teacher – রাজ্য সরকারের শিক্ষকদের জন্য কড়া নির্দেশিকা – এই কাজ করলে চাকরি বাতিল

রাজ্য সরকারি এবং সরকার অনুদান প্রাপ্ত বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের (wb teacher) জন্য এবার কড়া নির্দেশিকা জারি করল সংসদ। এই নির্দেশিকা অনুযায়ী যে সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা (wb teacher) বিদ্যালয়ে পড়ানোর পাশাপাশি প্রাইভেট টিউশনির সঙ্গে যুক্ত তাদের চাকরি এবার বাতিল হবে। এই ব্যাপারে কঠোর মনোভাব নিয়েছে সংসদ। কি সেই নির্দেশিকা, কোন কোন শিক্ষকদের জন্য এই নির্দেশিকা আসুন জেনে নেব আজকের প্রতিবেদনটির মাধ্যমে।

স্কুল শিক্ষক ও প্রাইভেট টিউশনের ইতিহাস :

এই রাজ্যে সর্বপ্রথম ২০০৫ সালে বিধানসভায় আইন পাস হয় যে, যেই সমস্ত শিক্ষক শিক্ষিকারা (wb teacher) সরকারি ও সরকার যে সমস্ত শিক্ষক শিক্ষিকারা সরকারি ও সরকার অনুদান প্রাপ্ত বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন তারা প্রাইভেট টিউশনি করতে পারবেন না। যদিও এই নিয়মকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে স্কুলে শিক্ষকতার পাশাপাশি প্রাইভেট টিউশন চালিয়ে যাচ্ছেন রাজ্যের প্রচুর স্কুল শিক্ষক। পরবর্তী সময়ে ২০০৯ সালে শিক্ষার অধিকার আইনে ধারা নম্বর ২০ তে বলা হয়েছে সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকারা প্রাইভেট টিউশন করা আইন বিরুদ্ধ। কিন্তু সেই আইনের পাস হওয়ার পর প্রায় ১৫ বছর পার হয়ে গেলেও এই নিয়মের কোন কার্যকারিতা এখন অবধি দেখা যায়নি।

কোন শিক্ষকদের জন্য নির্দেশিকা?

এই মুহূর্তে পূর্ব মেদিনীপুরের প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান এই কড়া নির্দেশিকাটি জারি করেছেন। এই নির্দেশিকা অনুযায়ী ওই জেলার অধীনস্থ কোন প্রাথমিক শিক্ষক (wb teacher) প্রাইভেট টিউশনির সঙ্গে যুক্ত হলে তার চাকরি বাতিল হবে। স্কুল পরিদর্শকদের এই সংক্রান্ত নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারা যেন ১৫ দিনের মধ্যে নিশ্চিত করেন তাদের চক্রের অন্তর্ভুক্ত কোন প্রাথমিক শিক্ষক প্রাইভেট টিউশন এর সঙ্গে যুক্ত নন।

গৃহশিক্ষক সংগঠনের দাবি :

পশ্চিমবঙ্গের একাধিক গৃহ শিক্ষক সংগঠন দাবি করে আসছেন সরকারি স্কুলের শিক্ষকরা (wb teacher) সরকারের বেতন পেয়ে থাকেন। এছাড়াও আছে তাদের গ্রাচুটি ও পেনশনের সুবিধা। সুতরাং তাদের ও তাদের পরিবারের ভবিষ্যত সুরক্ষিত। তারপরেও যদি তারা প্রাইভেট টিউশান করেন তবে সেক্ষেত্রে রাজ্যের গৃহ শিক্ষকদের সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়ছে। এই সংক্রান্ত বিভিন্ন অভিযোগ লিখিত আকারে ইতিমধ্যে সরকারি শিক্ষা দপ্তর ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদে জমা করেছে রাজ্যের একাধিক গৃহ শিক্ষক সংগঠন। জানানো হয়েছে স্থানীয় বিডিও এবং এসডিও কেও।সেখানেই থেমে না থেকে তারা আরো একধাপ এগিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন।

প্রাইভেট টিউশনি নিয়ে হাইকোর্টের অবস্থান :

মহামান্য উচ্চ আদালতে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি শুনানির পর সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের (wb teacher) প্রাইভেট টিউশনকে আইন বিরুদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও সরকারি শিক্ষা দপ্তরকে কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে যে তারা যেন নিশ্চিত করে যেকোনো রাজ্য সরকারি শিক্ষক প্রাইভেট টিউশনির সঙ্গে যুক্ত নন। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ যদিও সমগ্র বিষয়টি স্কুল ম্যানেজিং কমিটি ও প্রধান শিক্ষকের দিকে ঠেলে দিয়েছে। সকল বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে সুনিশ্চিত করতে বলা হয়েছে যে, তাদের বিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষক যেন প্রাইভেট টিউশনের সঙ্গে যুক্ত না থাকেন।

অভিভাবক ও প্রাইভেট টিউশনির সঙ্গে যুক্ত শিক্ষকদের কি মতামত?

অনেক অভিভাবকের দাবি, অনেক প্রান্তিক স্থানে এমনকি শহরতলিতেও মূলত বিজ্ঞানের বিষয়গুলিতে ভালো শিক্ষক পাওয়া দুষ্কর। সে ক্ষেত্রে তারা তাদের সন্তানের ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত করতে ভালো শিক্ষকের কাছেই পড়াতে চান। তিনি স্কুলের শিক্ষক (wb teacher) হন বা গৃহ শিক্ষক তাতে তাদের কিছু যায় আসে না। আর এই সংক্রান্ত বিষয়ে একশ্রেণীর স্কুল শিক্ষকের দাবি যে, তারা বিদ্যালয়ে নিজেদের কাজ ঠিকঠাক করার পরে নিজেদের অবসর সময় কি করবেন না করবেন সেটা একান্তই তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। আর এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা তাদের ব্যক্তি স্বাধীনতার পরিপন্থী। এখন আগামী দিনে এই সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশন সংক্রান্ত জল কোন দিকে গড়ায় সেটাই দেখার।

স্কুল শিক্ষা ও সরকারি কর্মী সংক্রান্ত যেকোনো আপডেট সবার আগে পেতে আমাদের ওয়েব পোর্টালটি অবশ্যই ফলো করুন।

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *