মত্ত অবস্থায় স্কুলে এসেছেন বলে অভিযোগ উঠল দুই শিক্ষকের(wb teacher) বিরুদ্ধে। এর মধ্যে আবার একজন সংশ্লিষ্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষক। পশ্চিমবঙ্গের অনেক স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা অধিক হলেও শিক্ষক নেই। আবার কোথাও চিত্রটা সম্পূর্ণ উল্টো। পর্যাপ্ত পরিমাণে শিক্ষক থাকলেও ছাত্রছাত্রী নেই। সুতরাং পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থার মান উদ্বেগজনক। এরই মধ্যে অভিযোগ উঠল দুই শিক্ষকের (wb teacher) বিরুদ্ধে স্কুল চলাকালীন মত্ত অবস্থায় স্কুলে উপস্থিত হওয়ার। কোন স্কুলের ঘটনা, আসলে কি হয়েছিল? আসুন জেনে নেব আজকের প্রতিবেদনের মাধ্যমে।
ঘটনাটি ঘটে সোমবার। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কাকদ্বীপ থানার দুর্গানগর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘটনা। অভিযোগ সোমবার দিন দুই শিক্ষক (wb teacher) স্কুলের ক্লাস চলাকালীন মত্ত অবস্থায় স্কুলে আসেন। ঘটনাটি খুব শীঘ্রই জানাজানি হয়ে যায়। আর শিক্ষকদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয় অভিভাবকরা। পরে কাকদ্বীপ থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বেগতিক দেখে এক শিক্ষক (wb teacher) স্কুল থেকে দ্রুত পলায়ন করেন। আর কাকদ্বীপ থানার পুলিশ স্কুলের প্রধান শিক্ষক মৃত্যুঞ্জয় বারিক কে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। এরপর পরপরই নামখানা ব্লক প্রশাসনের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক স্কুলে যান। তিনি সমস্ত পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। গ্রামবাসীদের তরফে ওই দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ব্লক প্রশাসনের কাছে। ব্লক প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা নেবে বলে আশ্বস্ত করেছে।
সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে যে, ওই দুই শিক্ষককে (wb teacher) হয়তো শোকজ করা হতে পারে। ঠিকঠাক কারণ দেখাতে না পারলে তাদের সাসপেন্ড ও করা হতে পারে। এই ঘটনায় যে শিক্ষক মহলের কিছুটা সম্মানহানি হল সেই কথা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কারণ শিক্ষকরা জাতির মেরুদন্ড। তাদেরকে আদর্শ মেনেই ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এগিয়ে যাবে। আর সেই শিক্ষকের এহেন কাজ খুবই দৃষ্টিকটু এবং অনভিপ্রেত।
স্কুল শিক্ষা সংক্রান্ত যেকোনো আপডেট সবার আগে পেতে আমাদের ওয়েব পোর্টালটি অবশ্যই ফলো করুন।