পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষক নিয়োগ থেকে শুরু করে শিক্ষক বদলি (wb teacher transfer) পর্যন্ত সমস্ত বিষয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এই সংক্রান্ত অনেক মামলা এই মুহূর্তে হাইকোর্টে বিচারাধীন। পূর্বে শিক্ষকরা বহু বছর ধরে বাড়ি থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দূরে চাকরি করে বদলির আবেদন করলেও দুর্নীতি কারণে ঠিকঠাক বদলি (wb teacher transfer) পেতেন না। শিক্ষা দপ্তর থেকে বহুদিন ধরে অভিযোগ আসছিল শিক্ষক ট্রান্সফারের (wb teacher transfer) ক্ষেত্রে অনেক দুর্নীতি ধরা পড়ছে অনেক উচ্চ পদস্থ কর্মচারীদের। তাই এই সমস্ত দুর্নীতি রুখতে এবং শিক্ষকদের নিজেদের পছন্দমত স্কুলে ও নিজেদের বাড়ির জেলায় বদলি (wb teacher transfer) করতে ২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার উৎসশ্রী পোর্টাল চালু করে।
এই উৎসশ্রী পোর্টাল ব্যবহার করে বহু শিক্ষক ইতিমধ্যে নিজেদের জেলায় বদলি (wb teacher transfer) হয়ে গেছেন। কিন্তু ২০২২ সালের শেষের দিকে নতুন করে শিক্ষক নিয়োগ শুরু হওয়ায় এই উৎসশ্রী পোর্টাল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা হয়। এছাড়াও এই উৎসশ্রী পোর্টালের যথেচ্ছ ব্যবহারের ফলে অনেক গ্রামের স্কুল শিক্ষক শূন্য হয়ে পড়েছে এবং শহরের দিকের স্কুলগুলোতে দেখা যাচ্ছে বাড়তি শিক্ষকের ভিড়। তাই এই ট্রান্সফার (wb teacher transfer) সংক্রান্ত প্রচুর মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। সেই সমস্ত মামলা এখনো হাইকোর্টে বিচারাধীন।
এরই মধ্যে নতুন একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ্যে এলো। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে পুরুলিয়া ডিস্ট্রিক্ট প্রাইমারি স্কুল কাউন্সিল। কি আছে এই বিজ্ঞপ্তিতে? এই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী পুরুলিয়া ডিস্ট্রিক্ট প্রাইমারি স্কুল কাউন্সিলের চেয়ারম্যান সমস্ত এসআই অর্থাৎ সাব-ইন্সপেক্টরদের নির্দেশ দিয়েছেন যে সমস্ত স্কুলে শুধুমাত্র দুই জন শিক্ষক আছেন, সেই সমস্ত স্কুলের শিক্ষকদের রিলিজ অর্ডার না দেওয়ার জন্য। এখানে স্পষ্টতই বলা আছে, যদি শিক্ষক ট্রান্সফার (wb teacher transfer) অর্ডার পেয়েও থাকেন, তবুও যেন সাব ইন্সপেক্টররা উক্ত শিক্ষককে রিলিজ অর্ডার না দেন। আর সেই সঙ্গে এটাও লেখা আছে পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত ট্রান্সফার (wb teacher transfer) সংক্রান্ত এই নির্দেশ বহাল থাকবে।
আর এই খবর সামনে আসার পরেই চিন্তার ভাঁজ সকল শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মাথায়। এরকম অনেক শিক্ষক-শিক্ষিকা এখনো আছেন যারা বাড়ি থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দূরে চাকরি করেন। স্কুলে যাওয়া, আসা এবং স্কুলে ক্লাস নেওয়াতেই তাদের গোটা দিন চলে যায়। পরিবারে পেছনে তারা সময় দিতে পারেন না। ট্রান্সফারের আশায় তারা বহুদিন ধরে বুক বাঁধছেন। কিন্তু এই খবর সামনে আসার পরেই তারা চিন্তায় পড়েছেন। তবে কি আবার অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হতে চলেছে ট্রান্সফার (wb teacher transfer)? তাদের মনে এখন এই প্রশ্নই দানা বাঁধছে।
এছাড়াও উৎসশ্রী পোর্টালের মাধ্যমে বহু গ্রামের স্কুলে শিক্ষক ঘাটতি দেখা যাওয়ায়, সেই সংক্রান্ত একটি মামলা এখনো কলকাতা হাইকোর্টে বিচারাধীন। সেইসঙ্গে বহু ক্ষেত্রে এই ট্রান্সফার সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগ উঠে আসছে। সেই কারণেই তড়িঘড়ি আর ট্রান্সফার (wb teacher transfer) ব্যবস্থা চালু করতে চাইছে না শিক্ষা দপ্তর। তবে আশা করা যায় ভবিষ্যতে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে আবার আগের মতোই ট্রান্সফার (wb teacher transfer) চালু হবে।
ডিএ ও ট্রান্সফার সংক্রান্ত যে কোন আপডেট সবার আগে পেতে আমাদের ওয়েব পোর্টালটিকে অবশ্যই ফলো করুন