প্রায় দেড় মাস গরমের ছুটির পরে পুনরায় সরকারি ও সরকার অনুদান প্রাপ্ত স্কুলে পঠন পাঠন শুরু হয়েছে। কিন্তু স্কুল খোলার পরপরই গোটা রাজ্য জুড়ে তীব্র গ্রীষ্মের দাবদাহ বর্তমান। বিভিন্ন জায়গা থেকে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের (West Bengal School Teacher) অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনা সামনে আসছে। এরকম পরিস্থিতিতে পুনরায় স্কুলে গরমের ছুটি দিতে পারে বলে মনে করছিলেন শিক্ষক শিক্ষিকা (West Bengal School Teacher) ও অভিভাবকরা। সেই দাবীকে মান্যতা দেয়নি রাজ্য সরকারের শিক্ষা দপ্তর। তার পরিবর্তে স্কুলের সময়সূচি বদল করেছে রাজ্য সরকার। দিনের পরিবর্তে মর্নিং স্কুল চালু হয়েছে রাজ্যের প্রায় সমস্ত স্কুলে। সেই সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য সরকার। তাই এই মুহূর্তে শিক্ষক শিক্ষিকাদের (West Bengal School Teacher) সকাল ১১ টার পরিবর্তে সকাল ৬.৩০ এর মধ্যে বিদ্যালয়ে ঢুকতে হচ্ছে।
কিন্তু এরই মধ্যে আবার খবর পাওয়া যাচ্ছে, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গার বেশ কিছু জেলাতে এখনো মর্নিং শিফটে স্কুল চালু করেনি বেশ কিছু স্কুল প্রশাসন। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে যে, সেই সমস্ত দিকে বিশেষ করে নজরদারি চালাচ্ছে রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের প্রশাসন। সমস্ত স্কুল যাতে মর্নিং শিফটে হয় এবং কোনো স্কুল যাতে দিনের বেলা না হয় সে বিষয়ে করা পদক্ষেপ নিতে চলেছে রাজ্য সরকারের শিক্ষা দপ্তর। প্রয়োজনে সেই সমস্ত বিদ্যালয়ের প্রধান ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের (West Bengal School Teacher) শোকস নোটিশ পাঠানো হতে পারে।
এই বিষয়টি এই মুহূর্তে খুবই স্পর্শকাতর। তাই সমস্ত দিক থেকেই নজর রেখে চলেছে রাজ্য শিক্ষা দপ্তর। কোন বাচ্চা যাতে স্কুলে গিয়ে অসুস্থ না হয়ে পড়ে সেই জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকারী প্রশাসন। তাই সমস্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষক/শিক্ষিকা শুধু নয় সমস্ত সহকারী শিক্ষক ও শিক্ষিকাদেরও (West Bengal School Teacher) এই বিষয়ে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে হবে না হলে তারাও সমূহ বিপদের মুখে পড়বেন।
গরমের ছুটি আবার বাড়তে পারে কি ?
এখনো পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনো সরকারি বিজ্ঞপ্তি এসে পৌঁছয়নি। তবে যেহেতু মর্নিং শিফটে স্কুল চালু হয়ে গেছে সমস্ত রাজ্য জুড়ে। সুতরাং নতুন করে আবার গরমের ছুটি পড়ার সম্ভাবনা খুবই কম। কারণ অনেক জায়গা থেকেই অভিযোগ আসছে নতুন করে গরমের ছুটি পড়লে সময়মত বাচ্চাদের সিলেবাস শেষ করা যাবে না। তাই পুনরায় যে গরমের ছুটি আর পড়বে না সে বিষয়ে একপ্রকার নিশ্চিত হয়ে বলাই যায়। তাই সমস্ত ছাত্র – ছাত্রী ও শিক্ষক – শিক্ষিকা (West Bengal School Teacher) আপাতত নিয়মিতভাবে সকাল ৬.৩০ এর মধ্যে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হবেন।
ডিএ কবে পাওয়া যাবে?
নির্বাচনের পূর্বে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী অতিরিক্ত ৪ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা ঘোষিত হয় সরকারি কর্মচারী এবং শিক্ষক – শিক্ষিকাদের (West Bengal School Teacher) জন্য। কিন্তু পরবর্তীতে সেই নির্দেশিকা কিছুটা বদল করে ১ লা মে এর পরিবর্তে ১ লা এপ্রিল থেকে অতিরিক্ত মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার করার কথা বলা হয়। সুতরাং জুলাই মাসে বেতনের সঙ্গে অতিরিক্ত মহার্ঘ ভাতা এরিয়ার হিসেবে পেয়ে যাবেন সরকারি কর্মচারী ও শিক্ষক-শিক্ষিকা বৃন্দ (West Bengal School Teacher)। তাই এই একমাস তারা ১৮ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা উপভোগ করবেন।
যদিও শোনা যাচ্ছে কেন্দ্র সরকার জুলাই মাসে আরো এক কিস্তি মহার্ঘ ভাতা দিতে পারে। সেক্ষেত্রে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারি কর্মচারিদের মহার্ঘ ভাতার ফারাক হয়ে দাঁড়াবে প্রায় ৪০ শতাংশ। তখন আবার রাজ্য সরকারের উপর ডিএ দেওয়ার জন্য চাপ বাড়তে পারে। তাই আগামী দিনে রাজ্যের অর্থদপ্তর সরকারি কর্মচারী ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের (West Bengal School Teacher) জন্য অতিরিক্ত মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা করেন কি না সেটিই এখন দেখার। শিক্ষা ও চাকরি সংক্রান্ত যেকোনো আপডেট সবার আগে পেতে আমাদের ওয়েবপোর্টালটিকে অবশ্যই ফলো করুন।